বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চামটা গ্রামের মাঠে মাঠে হলুদ গালিচা

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:১৩

কম খরচে বেশি উৎপাদন এবং লাভজনক হওয়ায় এখানকার কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। নভেম্বর মাসের শুরুতে কৃষকরা সরিষার বীজ বোনেন। জানুয়ারির শেষ দিকে ফসল ঘরে তোলেন।

সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। যেদিকে চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। যেন মাঠে মাঠে হলুদ গালিচা পাতা। এ দৃশ্য এখন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার চামটা গ্রামে।

কম খরচে বেশি উৎপাদন এবং লাভজনক হওয়ায় এখানকার কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। নভেম্বর মাসের শুরুতে কৃষকরা সরিষার বীজ বোনেন। জানুয়ারির শেষ দিকে ফসল ঘরে তোলেন।

করিমগঞ্জ উপজেলার মুরিকান্দি গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে হীরণ মিয়া জানান, তিনি এবার ১০ কাঠা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। এ জাতের সরিষার ফলনও বেশি হয়। প্রতি কাঠায় ৬০ কেজি করে সরিষা পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা করছেন। যে জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন, সে জমিটা নিচু জমি। সেচের কোনো সুবিধা এখানে নেই। এ সময়টাতে এ জমিতে ধান চাষ সম্ভব নয়। সে কারণে জমিটা পতিত না রেখে সরিষা আবাদ করেছেন তিনি। খুব অল্প দিনেই (৭০-৭৫ দিন) সরিষা পাওয়া যায়। তা ছাড়া অন্য ফসল চাষের তুলনায় সরিষা চাষে শ্রম কম দিতে হয়।

চামটা গ্রামের বিসু মিয়ার ছেলে হবি মিয়া জানান, তিনি ১৮ কাঠা জমিতে টরি-৭ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। তিনি জানান, টরি-৭ জাতের সরিষার ফলন কম হলেও দাম বেশি পাওয়া যায়। এ কারণে তিনি এ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। তা ছাড়া সরিষা থেকে খৈল পাওয়া যায়, যা গরুকে খাওয়ানো যায়। আর সরিষা থেকে খাঁটি সরিষার তেল নিজে ব্যবহার করেও বিক্রি করে থাকেন।

চামটা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মঞ্জু মিয়া জানান, তিনি ১৯ কাঠা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। প্রতি কাঠায় ৬০ কেজি করে ১১৪০ কেজি সরিষা পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. ছাইফুল আলম জানান, এবার জেলায় ৭ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। তবে আরও কিছু জমিতে সরিষা চাষ শুরু হবে। এতে করে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, বারি-১৪ জাতের সরিষার ফলন টরি-৭ জাতের তুলনায় ফলন প্রায় দ্বিগুণ । সরিষা চাষে জমির উর্বরতা বাড়ে বলে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে ।

এ বিভাগের আরো খবর