টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চতুর্থ শ্রেণীর দুজন শিক্ষার্থী ইমরান ও শাকিলকে অপহরণের পর হত্যার মামলায় তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড, তিন জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এ ছাড়া প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাউদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাহাদুর মিয়া, মিল্টন, রনি মিয়া। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আব্দুল মালেক, শাহিনুর, জহিরুল ইসলাম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন মো. শামিম, আরিফ ও জাকির হোসেন।
রায়ের সময় ৮ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ এক আসামি পলাতক রয়েছেন।
এ হত্যা মামলার নয় জন আসামির মধ্যে পাঁচ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ মামলায় ১৬ জন সাক্ষ্য দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ নয় জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৬ সালের ৮ জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকেল ৩ টার দিকে মির্জাপুরের হাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য শাকিল ও ইমরান বাড়ি থেকে বের হয়। তারা পরস্পর চাচাতো ভাই। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে না আসায় তাদের খোঁজাখুজি শুরু করে পরিবারের লোকজন ৷
পরদিন ২৮ জানুয়ারি ইমরানের মা জোসনা বেগমের কাছে ফোন দিয়ে তার ভাইয়ের ছেলে বাহাদুর মিয়া ১ লাখ টাকা চাদা দাবি করে ফোন বন্ধ করে রাখেন। ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৪ টার দিকে গুমগ্রাম বাজারের লেবু ক্ষেত থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় শাকিলের মা বাদি হয়ে ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন ৷ পরে পুলিশ তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাহাদুর মিয়াসহ অন্যান্য আসামির সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়।