জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আলম মিয়া (২৫) নামের এক তরুণেরে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে বাড়ির পাশের আম গাছের নিচে তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত আলম মিয়া উপজেলার কাঠিয়ারবাড়ী এলাকার তমসের আলীর ছেলে। তার পরিবারের অভিযোগ, পাওনা ৫০ টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে স্থানীয় দুই ব্যক্তি আলমকে হত্যা করেছেন।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুল করিম নিউজবাংলাকে মুঠোফোনে জানান, আলম মিয়া পেশায় রাজমিস্ত্রী। শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে তার সঙ্গে কাঠিয়ারবাড়ী এলাকার হাছেন মেঠের ছেলে মুক্তা মিয়া ও ফজলের ছেলে সুমনের দেখা হয়।
আলম মিয়ার কাছে আগের পাওনা ৫০ টাকা চান মুক্তা মিয়া। পকেটে টাকা না থাকায় একটু সময় চান আলম মিয়া। এনিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলম মিয়ার সঙ্গে মুক্তা মিয়া ও সুমনের মারামারি হয়। স্থানীয়রা দুই পক্ষের মারামারি থামিয়ে দেয়। এসময় আলম মিয়াকে হত্যার হুমকি দেন মুক্তা মিয়া ও সুমন।
আলমের স্বজনের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি জানান, শনিবার রাত ১ টার দিকে মাথায় ব্যাথা অনুভব করলে আলম মিয়া মায়ের সঙ্গে কথা বলে ওষুধ কেনার জন্য বাড়ির বাইরে যান। সকালে বাড়ির পাশে আম গাছের নিচে আলম মিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে রোববার সকালে লাশ উদ্ধার করে সরিষাবাড়ি থানা-পুলিশ। জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী সাদিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি জানান, এ ঘটনায় আলম মিয়ার মা আনোয়ারা বেগম মুক্তা মিয়া ও সুমনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আলম মিয়ার মৃত্যুটি রহস্যজনক। কারণ সুরতহালে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহটি ঝুলন্ত না থাকলেও তার মরদেহের পাশে একটি চাদর ছিল। তাই ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। যেহেতু ৫০ টাকার জন্য আলম মিয়ার সঙ্গে মুক্তা মিয়া ও সুমনের মারামারির ঘটনা ঘটেছে এবং তারা আলম মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। তাই পুলিশ ধারণা করছে তারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
ঘটনার পর থেকেই তারা দুজন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তারা গ্রেফতার হলে আরও কিছু তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছে পুলিশ।