চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা থেকে উদ্ধার হওয়া বিবস্ত্র কিশোরের মরদেহের পরিচয় বের করেছে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান নিউজবাংলাকে জানান, মৃত কিশোরের নাম নয়ন হোসেন। বয়স ১২। পেশায় পাখিভ্যান (ব্যাটারিচালিত ভ্যান) চালক।
নয়নের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থানার নৃসিংহপুর গ্রামের ফকিরপাড়ায়।
ওসি জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া-বড়সলুয়া ঢমপুল মাঠ এলাকা থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বর্ণনা দিয়ে ছবি পোস্ট করে পুলিশ। আশপাশের থানাতেও জানানো হয়।
নয়নের মামাতো ভাই রতন আলী জানান, শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মধুপুর গ্রামে বোনের বাড়িতে চাল দিতে যায় নয়ন। রাতে বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নয়নের মরদেহের ছবি দেখে পরিবারের সদস্যরা থানায় যোগাযোগ করেন।
ওসি ফকরুল জানান, শনিবার রাত ১২টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পাখিভ্যান ছিনতাইয়ের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। পুলিশ এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেছে।