ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মামলা তুলে নিতে কসবা পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে বছির মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার তিনলাখপীর গ্রামে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আহতরা হলেন বাছির মিয়া, তার স্ত্রী জাহানারা বেগম, ছোট ভাই বাচ্চু মিয়া বোন আছিয়া বেগম ও মেয়ে জোসনা বেগম।হাসপাতালে ভর্তি বাছির মিয়া বলেন, ‘গত বছরের অক্টোবর মাসে আমার মালিকানাধীন ও সরকারের কাছ থেকে লিজ নেয়া জায়গা থেকে আখউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য জোরপূর্বক অবৈধ বালু উত্তোলন করেন কসবা পৌরসভার মেয়র জুয়েল ও উপজেলা যুবদল নেতা শরীফুল হক। আমি বাধা দিলে তারা আমার কথা শোনেননি। পরে আমি জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করি।’
‘পরে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ড্রেজার মেশিন জব্দ করে ও এক লাখ টাকা জরিমানা করে।’
বাছির জানান, বালি তোলায় বাছিরের প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র ও শরীফুলের কাছে ক্ষতিপূরণের টাকা চান। তারা টাকা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষতিপূরণের দাবিতে গত নভেম্বরে ওই দুজনসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাছির।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের কারণে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বেকায়দায় পড়ায় মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় জুয়েল। তবে মামলা না তোলার কথা জানালে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজনদের মারধর করে।’অভিযোগ অস্বীকার করে কসবা পৌরসভার মেয়র জুয়েল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মারামারির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আর মামলা তুলে নেয়ার ব্যাপারেও আমি কাউকে কিছু বলিনি।’কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, ‘মারধরের বিষয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কে বা কারা মেরেছে এ ব্যাপারে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’