তৃতীয় দফায় ডিএনএ পরীক্ষায় পিতৃপরিচয় মিলেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার সেই স্কুলছাত্রীর সন্তানের পিতৃপরিচয়।
শনিবার ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিএএন পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী, রাকিব হোসেন নামের এক পরিবহন শ্রমিক ওই ছাত্রীর সন্তানের বাবা। রাকিবের বাড়ি উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে। তিনি প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, উপজেলার একটি গ্রামের ওই ছাত্রী তার নানার বাড়ি থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিত পড়ত। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলে ওই ছাত্রীকে কৌশলে নানা-নাতি ধর্ষণ করেন।
ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হলে তার বাবা একই বছরের ৩ অক্টোবর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। এতে নানা-নাতিকে আসামি করা হয়।
আদালতের নির্দেশে ওই ছাত্রীকে রাজশাহী শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে (সেফ হোম) রাখা হয়। পরে ছাত্রী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।
২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি নানা-নাতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে নবজাতকের জন্মদাতার পরিচয় শনাক্ত করতে নানা-নাতির ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু তাতে সন্তানের জন্মদাতার পরিচয় মেলেনি।
পরবর্তী সময়ে আদালতে হাজির করা হলে ছাত্রী রাকিবের নাম প্রকাশ করে। চলতি বছরের ৭ আগস্ট নওগাঁ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাকিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের আদেশে ৩ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রী ও তার সন্তান এবং রাকিবকে ঢাকা সিআইডির সদর দফতরে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। এতে রাকিব ওই সন্তানের জন্মদাতা বলে প্রমাণ মেলে।
ওসি কৃপা সিন্ধু বালা আরও জানান, দুই বছর তদন্ত শেষে প্রায় ১৫ দিন আগে বগুড়া আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এতে নানাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তার নাতি এবং পরিবহন শ্রমিক রাকিবকে অভিযুক্ত করা হয়। নানা-নাতি জামিনে আছেন। রাকি আছেন কারাগারে।