কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় টিউবের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়ালি কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, টানেলের কাজ শেষ হলে চট্টগ্রামের দৃশ্য বদলে যাবে। চীনের সাংহাই নগরীর মতো চট্টগ্রাম হবে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। পাহাড় আর সাগর মোহনায় চট্টগ্রাম পাবে নবরূপ। নদীর ওপারে গড়ে উঠবে আরেক চট্টগ্রাম। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আবাসন ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হবে।
আনোয়ারা প্রান্তের প্রথম টিউব থেকে ১২মিটার দূরে শেষ টিউবটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মাটির ১৮ মিটার থেকে ৪৩ মিটার নিচ দিয়ে যাবে টানেল বোরিং মেশিন। প্রায় তিন তলা সমান উঁচু চীন থেকে আনা বিশাল টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) এরই মধ্যে বসে গেছে আনোয়ারা পয়েন্টে। সেখানে ১২ মিটার গভীরে বসানো হয়েছে মেশিনটি। সেখানে খনন শুরু করে সর্বোচ্চ ৪৩ মিটার বা ১৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত চলে যাবে। টিবিএম আনোয়ার প্রান্ত থেকে নদী তলদেশে ঢুকে আরেকটি দুইলেনের সড়ক খোদাই করে পতেঙ্গা অংশে বের হবে।
এরইমেধ্য টানেলের ৬১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রান্ত থেকে আনোয়ারা প্রান্তে ১২ মিটার ব্যাসের টিউব স্থাপনও শেষ হয়েছে। আনোয়ারা প্রান্তে সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টানেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এ টানেল বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। টানেলের নামকরণ হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটির নির্মাণকাজ করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
চীনের সাংহাই শহরের আদলে চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি, টু টাউন’ মডেলে গড়ে তুলতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এই টানেল নির্মাণ করছে সরকার। মূল টানেল লম্বায় ৩ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে গাড়ি আসা-যাওয়ার জন্য থাকবে দুটি আলাদা টিউব। প্রতিটি টিউব লম্বায় ২ দশমিক ৪৫০ কিলোমিটার। ২০২২ সালে টানেল নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।