বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুষ্টিয়া শত্রু মুক্ত হয় আজ

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:৩৪

ভারত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পর তিন দিক থেকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা হানাদার মুক্ত হতে থাকে।

কুষ্টিয়া জেলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয় ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর । চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পাঁচ দিন আগেই কুষ্টিয়ার জনগণ বিজয় নিশানা দেখতে পেয়েছিল।

স্বজনের গলিত লাশ, গণকবর আর সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের আর্তনাদ ভুলে সেদিন বিজয়ের আনন্দে মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করেছিল।

মূলত কুষ্টিয়া ছিল মুক্তিযুদ্ধের অস্থায়ী রাজধানী। এর ফলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কুষ্টিয়ায় সবচেয়ে বেশি অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে হানাদার বাহিনীও কুষ্টিয়ায় চরম প্রতিরোধের মুখে পড়ে।

৩০ মার্চ ভোররাতে মুক্তিবাহিনী কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের হানাদার ক্যাম্পে হামলা করে। সারাদিন চলা যুদ্ধে নিহত হয় অসংখ্য পাকিস্তানি সেনা। শেষ পর্যন্ত ১ এপ্রিল রাতের আধারে পা বাহিনী কুষ্টিয়া ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমবারের মতো শত্রুর কবল থেকে মুক্ত হয় কুষ্টিয়া।

তৎকালীন কুষ্টিয়ার মুজিব নগরে (বর্তমানে মেহেরপুর জেলা) সরকার গঠন হয় ১০ এপ্রিল। এরপর থেকে দফায় দফায় বিমান হামলায় দীর্ঘ ১৬ দিন পর আবার কুষ্টিয়া দখলে নেয় পাকিস্তানি বাহিনী।

এভাবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নয় মাস জুড়েই কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর তুমুল লড়াই চলেছে। শুধুমাত্র কুষ্টিয়া জেলায় হানাদাররা ৬০ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা আর দুই হাজার মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করে।

ভারত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পর চারদিক থেকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা হানাদারমুক্ত হতে থাকে।

১০ ডিসেম্বর সকালে কুষ্টিয়া শহরের দক্ষিণে চৌড়হাস বি টি সির কাছে জিকে ক্যানেলের ব্রিজের উত্তর পাশে মূল সড়কে পাকিস্তানি সৈন্যের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনী-মিত্রবাহিনী যৌথভাবে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

এখানেও মিত্রবাহিনীর ৭০ জন বীর যোদ্ধা শহিদ হন। ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার সমস্ত এলাকা শত্রু মুক্ত হয়। কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন, জিলা স্কুল ও আড়য়াপাড়া ওয়ারলেসের আস্তানা ছেড়ে একে একে কুষ্টিয়া ত্যাগ করতে থাকেন পাকিস্তানি সেনারা।

একদল পালিয়ে ভেড়ামারা-পাকশীঘাট হয়ে ঢাকার উদ্যেশ্যে কুষ্টিয়া ত্যাগ করে। আরেক দল যশোর সেনানিবাসের দিকে যেতে জনগণের প্রতিরোধের মুখে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে গ্রামে গ্রামে খুঁজে পিটিয়ে মারা হয় তাদের।

এপ্রিল মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২২টি ছোটবড় যুদ্ধ শেষে কুষ্টিয়া শহর, পোড়াদহ, মিরপুর, ভেড়ামারা এলাকা শত্রুমুক্ত হয় এইদিন।

এ বিভাগের আরো খবর