লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার মমিনপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম ফরহাদের সঙ্গে তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এক কলেজ ছাত্রীর। বিভিন্ন সময় ওই তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও বিয়ে করেননি তিনি।
বিয়ের জন্য চাপাচাপি করলে গত সোমবার বাড়িতে এসে তার ঘরে ঢোকার জন্য প্রেমিকাকে পরামর্শ দেন আরিফুল। কথা মতো বাড়িতে গিয়ে ওই তরুণী দেখেন চম্পট দিয়েছেন আরিফুল।
প্রেমিকের বাবা-মা ও ভাবি মিলে এ সময় মারধর করে তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। পরে ছেলের বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন ওই তরুণী।
দুই দিন অনশনের পর অসুস্থ ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে তাকে গুরুতর অবস্থায় পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণীকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
ওই তরুণী জানান, আরিফুলের সঙ্গে তার তিন বছরের সম্পর্ক। কিন্তু এখন এড়িয়ে চলছেন।
মেয়েটি বলেন, ‘মঙ্গলবার আরিফুল তার বাড়িতে যাওয়ার কথা বললে আমি যাই। বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে সে (আরিফুল) আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সে পার্শ্ববর্তী আত্মীয়র বাড়িতে অবস্থান করছে।’
ওই তরুণীর দাবি, আরিফুলের পরিবার বিয়ের বিষয়টি সুরাহা করে দিক। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সাহায্যও চান তিনি।
ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি এলাকার সবাইকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন, তবে ছেলেপক্ষ রাজি না হওয়ায় সুরাহা করতে পারেননি।
এ ঘটনায় মেয়ের বাবা পাটগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। অন্যদিকে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও মারামারির অভিযোগে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছেন আরিফুলের মা।
শুক্রবার ওই তরুনীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে বাড়িতে রয়েছে। স্থানীয়ভাবে আপসের চেষ্টা চলছে, দেখি কি হয়।’
আরিফুলের বাবা বলেন, ‘আমি এই মেয়েকে ছেলের বউ হিসাবে মেনে নেব না। তাতে যা হবার হবে।’
পাটগ্রাম উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সুইট বলেন, বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার উভয় পরিবারকে ডাকা হলেও ছেলের পরিবারের কেউ আসেননি।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।