বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উষ্ণতার খোঁজে ফুটপাতে

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৯:০৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছোটো-বড় শপিংমল ঘুরে দেখা যায় শীতের কাপড়ের দাম বেশ চড়া। তাই নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তের ভরসা ফুটপাতের দোকান এবং ভ্রাম্যমাণ ভ্যান। এখানে ১০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায় শীত নিবারণের পোশাক।

সারাদেশেই কম-বেশি পড়তে শুরু করেছে শীত। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও এর ব্যতিক্রম নেই। কিন্তু শীতের সঙ্গে এবার রয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বাড়তি সতর্কতার।

শীতের জামাকাপড়ের বড় দোকানগুলোতে যতটা ভিড়, ততটাই ভিড় ফুটপাতের দোকানে। কোথাও কোথাও দেখা যায় ফুটপাতেই ক্রেতার ভিড় বেশি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছোটো-বড় শপিংমল ঘুরে দেখা যায় শীতের কাপড়ের দাম বেশ চড়া। তাই নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তের ভরসা ফুটপাতের দোকান এবং ভ্রাম্যমাণ ভ্যান। এখানে ১০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায় শীত নিবারণের পোশাক।

শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, সদর হাসপাতাল রোড, ট্যাংকের পারের সামনে সহ বিভিন্ন স্থানে পুরনো ও নতুন কাপড়ের পসরা। সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, কোট, প্যান্ট, কান টুপি, হাত মোজাসহ সব রকম শীতের কাপড়ই এখানে বিক্রি হচ্ছে। কাপড় কিনে আনা হয় ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে।

নিজাম আলী ও রাসেল মিয়া। দুজনই ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা করেন। তারা নিউজবাংলাকে জানান, তারা ঢাকার বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে বস্তায় লোড করা কাপড় নিয়ে আসেন। এবার বস্তা প্রতি তিনশ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। তাই গত বছর যে কাপড় দেড়শ টাকায় বিক্রি করেছেন এবার সেটি বিক্রি করতে হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

এবার বিক্রি কেমন জানতে চাইলে জীবন মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার হঠাৎ কইরা শীত পইরা গেছে। এই জন্য কাস্টোমার (ক্রেতা) বেশি। আইজ সকাল থেইক্কা দুপুর পর্যন্ত ছয় হাজার টাকার কাপড় বিক্রি কইরা লাইছি।’

সরাইল উপজেলার পাকশিমুল গ্রামের বিক্রেতা বিপুল মিয়া। বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের সামনে গরম কাপড় বিক্রি করেন। তিনি জানান, ফুটপাতে কাপড়ের অনেক চাহিদা। শুধু গরিব না বড়লোকরাও এখান থেকে কাপড় কেনেন। অগ্রহায়ণের শুরুতে প্রথম চালানে ঢাকা থেকে ৭০ হাজার টাকার কাপড় আনেন। সেগুলো বিক্রি করে আবার কাপড় এনেছেন।

শহরের পাইকপাড়ার বাসিন্দা তৌহিদ আলমকে দেখা যায় কয়েক জোড়া বাচ্চাদের পায়ের মোজা কিনতে। তিনি জানান, কোনো শপিংমল থেকে কিনলে দাম পড়ত ৭০-৮০ টাকা। ফুটপাত থেকে কিনেছেন ৩০ টাকা দিয়ে।

তবে এমন অনেকেই আছেন যাদের ফুটপাত থেকেও কেনার সামর্থ্য নেই। তাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে একটি সামাজিক সংগঠন।

সংগঠনটির উপদেষ্টা বিশ্বজিৎ পালন জানান, ‘আমাদের উদ্যোগ কিছুটা ব্যতিক্রম। আমরা ৫০ জন গৃহকর্মীকে কম্বল দিয়েছি। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর