দুই বছর বয়সী কন্যাশিশু শহিদা বেগম। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম নেয়া শিশুটি জন্মগতভাবে অন্ধ। চোখে ছানির কারণে কিছুই দেখত না সে। অবশেষে পৃথিবীর আলোয় আলোকিত হলো তার জীবন।
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে দেখার ক্ষমতা পেয়েছে শহিদা। সে একা নয়, আরও ১৯ রোহিঙ্গা শিশু সফল অস্ত্রোপচারে পেল দৃষ্টিশক্তি। তারা সবাই পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রয়প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার চোখের বাঁধন খুলে দেয়ার পর সব শিশু রঙিন পৃথিবী দেখতে চায়।
চক্ষু হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহীদ ফারুকী জানান, ২ ডিসেম্বর অস্ত্রোপচার শুরু হয়। শিশুদের চোখের অস্ত্রোপচার কারণে চক্ষু হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট নাসিমুল গনি চৌধুরী।
তিনি জানান, কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের (কিউএফএফডি) সহায়তায় অরবিস ইন্টারন্যাশনালের ‘কাতার ক্রিয়েটিং ভিশন (কিউসিভি) এক্সপান্ডিং আই কেয়ার ইন সাউথ ইস্ট বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এসব শিশুর চোখের চিকিৎসা করা হয়।
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল।