বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মার পারে পর্যটনের সম্ভাবনা অপার

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:০৭

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায় গড়ে উঠছে একটি ব্যতিক্রমী প্রাণী জাদুঘর। তা ছাড়া তাজা ইলিশ ভাজা খেতে ও সেতু দেখতে আসছে লোকজন।

দেশের প্রথম ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেয়া হয় চলতি বছরের ১২ মার্চ। এর ফলে ঢাকা থেকে মাওয়া যেতে সময় লাগছে বড়জোর আধা ঘণ্টা।

আর নিজস্ব অর্থায়নে ছয় দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যান বসানো হলো আজ।

এর মধ্য দিয়ে এই সেতুকে ঘিরে মুন্সিগঞ্জের পদ্মার পারে পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেল।

এমনিতেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষেরা পদ্মার পারে আসেন তরতাজা ইলিশের স্বাদ পেতে। পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ চলায় বেড়াতে আসা এই মানুষের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকরা।

একাধিক হোটেল মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে মানুষ দলবেঁধে শুধু ইলিশ খেতে পদ্মার পারে আসত। আর এখন পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ দেখতে এসে ইলিশ খায়। এতে আগের চেয়ে তাদের রোজগার ভালো। এতে তারা খুশি।

 

বিভিন্ন সময়ে পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি দেখতে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনের জন্য পদ্মা সেতু দেখতে আসতে পারে। বিশেষ করে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ থেকে অনেক কিছু শেখার ও জানার আছে।

ঢাকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ছাত্র সাব্বির হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ দেখতে একাধিকবার তিনি বন্ধুবান্ধব নিয়ে পদ্মার পার এসেছেন।

এদিকে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা ঘুরতে এসে প্রায় সবাই পদ্মা সেতুও দেখে যান।

বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়েতে ঘুরতে এসেছিলেন। একপর্যায়ে মাওয়া ঘাটের ইলিশ ভাজা খেতে ও পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ দেখে এলেন।

এদিকে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায় গড়ে উঠছে একটি ব্যতিক্রমী প্রাণী জাদুঘর। পদ্মা সেতুর কাজের পাশাপাশি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের দোগাছি পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১-এ চলছে প্রাণী ও প্রাকৃতিক সম্পদের নমুনা সংগ্রহ। প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।

দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাদুঘরের স্থানীয় এলাকাসহ সারা দেশ থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ২ হাজার ২২২টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কার্যক্রমটি চলবে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত।

 

জানা গেছে, ২৮ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর ৮৩টি, ১৬১ প্রজাতির পাখির ৩৯৮টি, ২৬ প্রজাতির উভচর প্রাণীর ৫৩টি নমুনা, ৩২১ প্রজাতির মাছের ৩৩৬টি, ৩০৬ প্রজাতির শম্বুকজাতীয় কোমলাঙ্গের প্রাণীর ৩০৮টি, ৫৯ প্রজাতির কঠিন আবরণযুক্ত জলজ প্রাণীর ৬৩টি, ১৮৩ প্রজাতির প্রজাপতি ও মথের ২২৮টি এবং পোকামাকড়ের মোট ২২২ প্রজাতির ৩৬১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। 

পদ্মা সেতু জাদুঘরের কিউরেটর আনন্দ কুমার দাস বলেন, ‘জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণে সফল হয়েছে। সেতু উদ্বোধনের দিন থেকে দর্শনার্থীদের জন্য জাদুঘর উন্মুক্ত করে দেয়া যাবে।’ 

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক পদ্মা সেতুকে ঘিরে পর্যটনের অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার যদি সঠিক পরিকল্পনা হাতে নেয়, তাহলে শুধু দেশ নয় বিদেশ থেকেও পর্যটকরা আসবেন পদ্মার পারে।

এ বিভাগের আরো খবর