বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শীতে অসহায় ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:২৭

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘হামরা শীত বস্ত্র তেমন পাইনা। শহর থেকে হামার বাড়ি অনেক দুর। হামারতি আসিতে আসিতে কম্বল বলে শেষ হয়া যায়।’

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে শীত আসে বেশ আগেভাগেই। তীব্র ঠান্ডায় বছরের এই সময়টিতে অসহায় হয়ে পড়েন জেলাটির দরিদ্র মানুষ।

প্রতিবছরই জেলার শীতার্ত মানুষদের জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র দেয়া হয়। তবে সহায়তার শীতবস্ত্র না পাওয়ারও আক্ষেপ করেছেন অনেকে।  

জেলার হরিপুর সীমান্তের ভাসিডাঙ্গীর হাবিবুর রহমান (৬৫) বলেন, ‘হামরা শীত বস্ত্র তেমন পাইনা। শহর থেকে হামার বাড়ি অনেক দুর। হামারতি আসিতে আসিতে কম্বল বলে শেষ হয়া যায়।’

ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনের ভিক্ষা করেন রোকেয়া বেগম। তিনি বলেন, ‘মোর কেউ নাই। মুই সারাদিন মানুষের বাসায় ভিক্ষা করি। আর রাতের বেলায় স্টেশনে ঘুমাই। বেলা ডুবলেই শুরু হয় ঠান্ডা। আজ পর্যন্ত কেউ একখান কম্বল দেয়নি মোক।’

আরেক নারী রাবেয়া বেগম বলেন, ‘শীত কালে সরকারি যে কম্বল পাই তা দিয়ে শীত পালায় না। এত পাতলা কম্বল দিয়ে কি করমু হামরা। মোটা কম্বল হলে একটাই কম্বল পাইলে হামরা খুশি।’

ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা আব্দুস সালাম বলেন, ‘জেলার অনেক মানুষ হতদরিদ্র। আমরা যে পরিমাণ চাহিদা পাঠাই তার অর্ধেক শীতবস্ত্র পাওয়া যায়। গত বছরের চেয়ে এ বছর আরো বেশি শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’

শীত জনিত রোগে মৃত্যুর হারও বেশি ঠাকুরগাঁওয়ে।

জেলার সদর হাসপাতাল সিভিল সার্জন মাহফুজুর রহমান সরকার জানান, জেলায় প্রতিবছর শীত জনিত রোগে প্রায় দেড়শ মানুষ মারা যান। এসময় শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলে ভর্তি হন। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানান রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়।’

জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘আমরা যে পরিমান শীত বস্ত্র বিতরণ করি তা অপ্রতুল। বেশির ভাগ হত দরিদ্র মানুষ শীতের জন্য গরম কাপড় কিনতে পারে না। জেলায় শীতবস্ত্রের চাহিদা অনেক বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে সরকারি ভাবে আমরা তা দিতে পারি না। যতটুকু পাওয়া যায় তা গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। বেসরকারি সংস্থা গুলো যদি প্রতিবছরের মতো এবারও এগিয়ে আসে তাহলে শীতবস্ত্রের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর