পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে তিন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। সেতুতে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ (১২২ মিটার) পাইল ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে ১৫ টন ওজনের ৯৮ হাজার ৭২৫ কিলো নিউটন ক্ষমতার ফ্রিকশন প্যান্ডিলাম বেয়ারিং ব্যবহার হয়েছে নির্মাণকাজে। এ ছাড়া নদীশাসনে সর্বোচ্চ ১.১ বিলিয়ন (প্রায় আট হাজার ৮০০ কোটি টাকার) চুক্তির কারণে হয়েছে এ তিন রেকর্ড।
বিশ্বে প্রথম নতুন দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে পদ্মা সেতুর পাইল নির্মাণ কাজে। একটি হলো ভার্টিক্যাল আরসিসি বোর্ড পাইলে গ্রাউটিং ইনজেক্ট স্কিন ফ্রিকশন ব্যবহার করে দৃঢ়তা বৃদ্ধি করা। পদ্মায় এমন পাইল সংখ্যা ২২টি।
অপরটি হলো স্টিল টিউবুলার ড্রিভেন পাইলে গ্রাউটিং ইনজেক্ট করে পাইলের তলদেশের স্কিন ফ্রিকশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এমন পাইল সংখ্যা ২৫২টি।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী রজ্জব আলী জানান, সেতুতে ১৫ টন ওজনের ৯৮ হাজার ৭২৫ কিলো নিউটন ক্ষমতার ফ্রিকশন প্যান্ডিলাম বেয়ারিং ব্যবহার করা হচ্ছে, যা উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল। পুরো সেতুতে পাঁচ ধরনের ৯৮টি বেয়ারিং ব্যবহার করা হচ্ছে, যার মধ্যে ৩৫টি স্প্যানের সঙ্গে দুটি করে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টে চারটি করে বেয়ারিং ব্যবহার হচ্ছে। ৬.১৫ কিলোমিটার সেতুতে সাতটি জয়েন্ট থাকছে।
প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুর নাম নয়। এখানে অনেক মানুষের আবেগ-অনুভূতি জড়িত।
এমন একটি প্রকল্পের পরিচালক হতে পারা অত্যন্ত গর্বের উল্লেখ করে তিনি জানান, সেতুটি চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে। একসময় এটি স্বপ্ন মনে হলেও পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা।