বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুন্দরগঞ্জে লাল-সবুজ পতাকা ওড়ানোর দিন

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:০০

১০ ডিসেম্বর সকালে পুরো এলাকা খুঁজেও কোনো হানাদারকে না পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে স্বাধীনতাকামী মানুষ। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে বিজয় মিছিল বের করা হয়। ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজ পতাকা।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হয় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। শত্রুমুক্ত হয় উপজেলাটি।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধারা সুন্দরগঞ্জকে মুক্ত করতে ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা পাড়ি দেন। ৯ ডিসেম্বর তিনশর বেশি বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলায় প্রবেশ করেন।

ওই দিন রাতেই পাকিস্তানি সৈন্যরা ভয়ে পালিয়ে যায়। ১০ ডিসেম্বর সকালে পুরো এলাকা খুঁজেও কোনো হানাদারকে না পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে স্বাধীনতাকামী মানুষ। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে বিজয় মিছিল বের করা হয়। ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজ পতাকা।

১০ ডিসেম্বর প্রায় আড়াইশ রাজাকার-আলবদর অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার-১, বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক জানান, ‘জেলায় প্রথম ৪ ডিসেম্বর ফুলছড়ি ও সাঘাটা থানা হানাদারমুক্ত হয়। এরপর ৮ ডিসেম্বর মুক্ত হয় পলাশবাড়ি থানা। তারপর ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারদের দখল থেকে মুক্তি পায় সুন্দরগঞ্জ থানা।’

গৌতম চন্দ্র মোদক আরও জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল, র‍্যালি ও আলোচনা সভা ছাড়াও শহিদদের কবর জিয়ারত করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর