বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার তিন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
বুধবার আসামিরা বগুড়ায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রাতে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আত্মসর্মপণকারীরা হলেন আব্দুল হাই, রুবেল হোসেন ও রুবিয়া খাতুন।
এর আগে গত রোববার রাতে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ায় করা সালিশের মাতব্বর আবু সাইদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি এজাহারভুক্ত আসামি নয়; তবে পুলিশের তদন্তে তার সম্পৃক্ততা উঠে আসে।
ওসি জানান, মামলায় করা পাঁচ আসামির চার জনই এখন কারাগারে। শুধু প্রধান আসামি মাসুদ এখনও ধরা পড়েনি।
তাকে খুব শিগগির গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানান ওসি কৃপা সিন্ধু বালা।
গত ১৬ জুলাই ওই কিশোরী নানা বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর যাওয়ার সময় তাকে জোর করে অটোরিকশাচালিত সিএনজিতে তোলেন মাসুদ ও ফজলুল। ফজলুল স্থানীয় ইউপি সদস্য। এরপর আর কিছু বলতে পারে না কিশোরী। এরপর কেটে গেছে এক মাস নয়দিন। পরে সিরাজগঞ্জ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাবা ও এলাকার মানুষ।
এ ঘটনায় গত ১২ আগস্ট ধুনট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় মাসুদ ও ফজলুল ছাড়া আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন, মো. আবদুল হাই, মো. আবদুল মান্নান, মো. রুবেল হোসেন, মোছা. সাথী খাতুন ও মোছা. রুবিয়া খাতুন।