বন্ধুর মা ও বোনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করায় বন্ধু মেহেদী হাসান সাগরকে খুন করেছেন আল আমিন নয়ন।
যশোরের সদর উপজেলার বিরামপুরে ওই হত্যার ঘটনায় আল আমিন নয়নকে আটকের পর স্বীকারোক্তি দিলে জানা যায় খুনের কারণ।
গত সোমবার জেলার বিরামপুরে রাত ১০টার দিকে ওই খুনের ঘটনা ঘটে।
হত্যা মামলা রেকর্ডের আগেই যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই হত্যার কারণ বের করল। মঙ্গলবার আটকের বুধবার আল আমিনকে আদালতে নিলে বন্ধুকে খুনের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।
নয়নের স্বীকারোক্তিকে উদ্ধৃত করে খুনের কথা জানান পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন।
তিনি জানান, সাগর ও আল আমিনের ঘনিষ্ট বন্ধু। প্রায় একসঙ্গেই চলাফেরা করতেন দুজন। গত ৭ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে সাগরের বাবার দোকানের পাশে বিস্কুট খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাগর আল আমিনের মা ও বোনকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
পিবিআই কর্মকর্তা জানান, তারা আবার আগের মতই শহরে বেড়াত। কিন্তু অভিযুক্ত আল আমিনের গালি গালাজ করার কারণে রাগ মনে রেখে সাগরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আল আমিন একটি চাকু নিয়ে আসে। ৭ ডিসেম্বর রাতে আল আমিন বন্ধু সাগরকে বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে ঘোপ এলাকায় নিয়ে যায়। হাঁটার এক পর্যায়ে জেলরোডে অপু কাউন্সিলরের বাড়ির পশ্চিমের রাস্তায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
বুধবার বিচারিক হাকিম সাইফুদ্দীন হোসাইন জবানবন্দি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টায় শহরের পৌর কাউন্সিলরের বাড়ির পাশ থেকে সাগরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাগর বিরামপুর দক্ষিণপাড়ার ফকিরের মোড় এলাকার ঘটক এসকে হানিফ শেখের ছেলে।
মরদেহ উদ্ধারের পরপরই পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নামে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআইসহ কয়েকটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
মঙ্গলবার রাতে নিহত সাগরের বাবা হানিফ শেখ অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা করেন।