মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি টর্চার সেলকে জাদুঘরে রূপান্তর করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। একই সঙ্গে নগরীর ওয়াপদা কলোনীতে টর্চার সেলটির পাশের একটি ব্রিজ, বাঙ্কার, খালের পাড় ও হাঁটার রাস্তাকেও জাদুঘরের আওতায় এনে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বরিশাল মুক্ত দিবসে জাদুঘরটিকে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর ভয়াবহ নির্মমতার সাক্ষী ভবনগুলোতে দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন চালানো হত। অনেক নারীও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন টর্চার সেলটিতে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি বাহিনী টর্চার সেলের পাশে সাগরদি খালের ব্রিজে দাঁড় করিয়েই ব্রাশ ফায়ার করত। লাশ ফেলার কারণে রক্তে লাল থাকত খালের পানি।
মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমরা এখানে এসে বিল্ডিংয়ের দেয়ালে রক্ত দিয়ে নাম লেখা দেখেছিলাম। নির্যাতিতাদের শাড়ির অংশ বিশেষ ও চুল উদ্ধার করেছিলাম।’
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘নতুন যে প্রজন্ম রয়েছে তারা এখানে আসলে স্বচক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস দেখতে পারবে। ধারণা পাবে মুক্তিযুদ্ধে কেমন নির্যাতন করা হয়েছিলো বাঙালিদের উপর।’