১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর ১১৭ জন সশস্ত্র রাজাকারের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা।
নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম জিন্নাহ জানান, আহম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাঁটি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে তারা ৭ ডিসেম্বর পিছু হটে।
তিনি আরও জানান, উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাঠাকাটা ইউনিয়নের পলাশকান্দি গ্রাম। সেখানে ৯ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় নকলা থেকে পালিয়ে যাবার সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যামবুশে পড়ে ওই রাজাকাররা। তারপর অস্ত্রসহ দলটি আত্মসমর্পণ করে। এরপরই নকলাকে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
আত্মসমর্পন করা রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে অ্যামবুশে অংশগ্রহণ করা বীর মুক্তিযোদ্ধারা নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসেন। সে সময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন মিত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন রানা সিং, লেফটেন্যান্ট তাহের, লেফটেন্যান্ট কামাল, কোম্পানি কমান্ডার আব্দুর হক চৌধুরীসহ মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
আরও উপস্থিত ছিল নকলার সর্বস্তরের মানুষ। সবার সামনে ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
প্রতি বছরই দিনটি নানা আয়োজনে পালন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয় স্মৃতিস্তম্ভে।