কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার পর কুমিল্লায় সব ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মৃতিফলকের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্ব-স্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। ভাস্কর্য ও ম্যুরালে স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা প্রহরীর সংখ্যা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে সিসি ক্যামেরা ছাড়াও দুইজন নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়াও ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখার ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ ম্যুরালে ছয়টি সিসি ক্যামেরা ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায়ের ভাস্কর্যে একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালকে ঘিরেও নিরাপত্তার কমতি নেই।
এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ভাস্কর্যগুলোতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন ভূঁইয়া নিউজ বাংলাকে জানান, ৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও কলেজ প্রতিষ্ঠাতার ভাস্কর্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সিকিউরিটি গার্ডের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিয়ালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য রক্ষায় সিসি ক্যামেরা আগেই স্থাপন করা হয়েছিল। পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন দুইজন প্রহরী বিশেষভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের ভেতরের সব ম্যুরালের বিষয়ে বাড়তি সর্তকতা নেয়া হয়েছে। ভাস্কর্য নিয়ে কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যাতে না তৈরি হয়, সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি।’
ব্যক্তি উদ্যোগে বিশেষ করে ম্যুরালগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মো. নুরুল ইসলাম।