১৬ জানুয়ারি মাগুরা পৌরসভার নির্বাচন। তফসিল ঘোষণার পরপরই পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে বইছে নির্বাচনি হাওয়া। শহরের চায়ের দোকান, বাজারে সর্বত্র মানুষের মুখে নির্বাচনি আলাপ।
এরই মধ্যে মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের ছয় প্রার্থী মাঠ পর্যায়ে শুরু করেছেন প্রচারণা।
মনোনয়ন প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক রানা আমীর ওসমান, দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাখারুল ইসলাম শাকিল, দলের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান স্বপন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক নিরাপত্তা ইউনিটের (এসএসএফ) ডেপুটি ডিরেক্টর পাইলট রফিকুল ইসলাম কামাল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সোহেল পারভেজ মিয়া দীপ
মেয়র প্রার্থী খুরশিদ হায়দার টুটুল বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পর নাগরিকদের নানা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছি। আমার বাবা এ পৌরসভায় চেয়ারম্যান থাকাকালে যেমন মানুষের সঙ্গে ছিলেন, আমিও সেবা দিতে দিনরাত পরিশ্রম করছি। গত পাঁচ বছরে পৌরসভার উন্নয়নে নানা কাজ করেছি। আশা করছি, এবারো মনোনয়ন পাব।’
জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক রানা আমীর ওসমান মনোনয়নের প্রত্যাশা করে জানান, তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সবসময় চেষ্টা করেছেন মানুষের পাশে থাকার। নির্বাচিত হলে আধুনিক পৌরসভা গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাখারুল ইসলাম শাকিলও দলীয় মনোনয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারও প্রত্যাশা দল থেকে মনোনয়ন পাবেন।
নাগরিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও খোঁজ খবর রাখেছেন দলের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান স্বপন। তিনিও দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন বলে জানান।
মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করার কথা জানান কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সোহেল পারভেজ মিয়া দীপ।
মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক নিরাপত্তা ইউনিটের (এসএসএফ) ডেপুটি ডিরেক্টর পাইলট রফিকুল ইসলাম কামাল।
রফিকুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘চাকরি জীবনে সর্বক্ষেত্রে সততা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে কাজ করেছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পৌর নাগরিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও গণসংযোগ করেছি। সবার কাছ থেকে অনেক সাড়া পেয়েছি।’
নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, পৌরসভার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর, বাছাই ২২ ডিসেম্বর, মনোনয়ন প্রত্যাহার ২৯ ডিসেম্বর ও ভোট গ্রহণ হবে আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি।