বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়েছিল আজ

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:১০

পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর তারা রাজাকারদের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে.এম লুৎফুর রহমানসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে আটক অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরের কুরুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। 

১৯৭১ সালের আজকের দিনে হানাদার মুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এ দিন মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান মুক্তিযোদ্ধা জহুর আহমেদ চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুরাতন কাচারি ভবন সংলগ্ন তৎকালীন মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যুদ্ধের শেষের দিকের গল্প।

ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রমুক্ত করতে ৩০ নভেম্বর থেকে জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর উপর বেপরোয়া আক্রমণ চালাতে থাকে মিত্রবাহিনী।

১ ডিসেম্বর আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধে ২০ হানাদার নিহত হয়। ৩ ডিসেম্বর আখাউড়ার আজমপুরে যুদ্ধে শহিদ হন তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১১ হানাদার নিহত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি গণকবর। ছবি: নিউজবাংলা 

 

এরই মধ্যে বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী, সিঙ্গারবিল, মুকুন্দপুর, হরষপুর, আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, রাজাপুর এলাকা পাকিস্তানি বাহিনীর দখলমুক্ত হয়।

৪ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে। আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর দুই শতাধিক সেনা হতাহত হয়। ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা আখাউড়া মুক্ত করে।

এরপর থেকে চলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত করার প্রস্তুতি। মুক্তি বাহিনীর একটি অংশ জেলা শহরের দক্ষিণ দিক থেকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে এবং মিত্র বাহিনীর ৫৭তম মাউন্টের ডিভিশন আখাউড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইন ও উজানীসার সড়ক দিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে।

শহরের চারদিকে মুক্তিবাহিনী অবস্থান নিতে থাকায় পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর তারা রাজাকারদের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে.এম লুৎফুর রহমানসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে আটক অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরের কুরুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। 

ব্রাহ্মণবারিয়া শহরের পৈরতলা গণকবর। ছবি: নিউজবাংলা

 

৭ ডিসেম্বর রাতের পাকিস্তানি বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। ৮ ডিসেম্বর বিনা বাধায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে ও স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করে, মুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।

এ বিভাগের আরো খবর