দেশকে এগিয়ে নিতে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত রায়।
মঙ্গলবার ‘নেত্রকোণা ট্র্যাজেডি দিবস’ উপলক্ষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রশান্ত রায় বলেন, ‘আর বোমা হামলায় হতাহত নয়, প্রতিক্রিয়াশীলদের উত্থান নয়; প্রগতির জয়ধ্বনিতে দেশ এগিয়ে যাবে।’
২০০৫ সালে আজকের দিনে জেএমবির আত্মঘাতী বোমা হামলায় আট জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন।
এ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ‘নেত্রকোণা ট্র্যাজেডি দিবস উদযাপন কমিটি’।জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অসিত ঘোষ জানান, দিবসটিকে সামনে রেখে সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদের উত্থান রোধে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
এসবের মধ্যে রয়েছে কালো ব্যাজ পরা, উদীচীর কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, নিহতদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো, র্যালি, সমাবেশ, শহিদদের কবর জিয়ারত, নিহতদের শ্মশানের স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা জানানো ও শহিদদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ।
নেত্রকোণা ট্র্যাজেডি দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান খান ভুট্টো বলেন, ‘মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মুক্তচিন্তার চর্চা বিকাশের ক্ষেত্রে উদীচীর লড়াই আন্দোলিত করার লড়াই। আমাদের বিবেকের চোখ দিয়ে দেখতে হবে, কারা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তবুদ্ধির বিকাশের কপাটে খিল দেয়; রক্তের জমিন লাল করে স্প্লিন্টারে প্রাণ কেড়ে নেয়।’
জেলা উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সেদিন সকালে শহরের অজহর রোডে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ও শতদল কার্যালয়ের সামনে জেএমবির আত্মঘাতী বোমা হামলায় জেলা উদীচীর সহ-সাধারণ সম্পাদক খাজা হায়দার হোসেন, সম্পাদক সুদীপ্তা পাল শেলীসহ আট জন নিহত হন। আহত হন ৫০ জনেরও বেশি।
২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশের করা বোমা হামলা মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ঢাকা-২ আদালত তিন জঙ্গি সালাউদ্দিন, আসাদুজ্জামান ও ফাহিমকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
আরেক আসামি কাউছার আহম্মেদকে খালাস দেয়া হয়। বাংলা ভাই ও সানির অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।