১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় ঝালকাঠি। ভোর হওয়ার পরপরই ঝালকাঠির আকাশে ওড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। স্বাধীনতার খবর পেয়ে বিল অঞ্চল থেকে শহরে আসতে থাকে মুক্তিবাহিনী।
নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় এখানকার কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা জানান, ৭ ডিসেম্বর রাতে ঝালকাঠি শহরে মাইকিং করে কারফিউ ঘোষণা করে গ্রামের রাজাকার জেবালুল ইসলাম জেবেল।
তিনি আরও জানান, মাইকে কারফিউ ঘোষণা করানোটা ছিল পাকিস্তানি হানাদারদের একটা কৌশল। কারফিউর খবর জানান দিয়ে রাস্তা ফাঁকা করাটা ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। কারণ হানাদাররা পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আগেই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যবান সেন গুপ্ত বলেন, ‘কারফিউর কারণে ভোর হওয়ার আগ থেকেই সাধারণ মানুষ রাস্তায় বের হয়নি। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদাররা দলবেঁধে লঞ্চঘাট থেকে গানবোর্ড নিয়ে নলছিটি হয়ে বরিশালের দিকে পালিয়ে যায়।’
আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন দত্ত বলেন, ‘হানাদারদের পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে গ্রামাঞ্চল থেকে শহরের দিকে আসতে থাকে মুক্তিবাহিনী। দুপুরের মধ্যেই ঝালকাঠি থানা দখলে নেয় তারা। ঝালকাঠিজুড়ে বিজয়ের উল্লাস করতে থাকে মুক্তিকামী মানুষ।’
ভারতের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশে রওনা হয় মুক্তিযোদ্ধারা, এমনটাই জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ইমাম পাশা।