মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক তরুণকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। তার নাম নাঈম আহমেদ।
সোমবার সকালে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠক বসে। প্রথমে বিষয়টি সালিশ-বৈঠকে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও এলাকাবাসী স্থানীয় শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে তাকে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর সকালে মেয়েটি প্রাইভেট পড়তে শিক্ষকের বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় নাইম আহমদ তাকে তুলে নিয়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
মেয়েটি মুক্ত সড়কে একজনকে সব খুলে বললে তিনি মেয়েটিকে তার বান্ধবীর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে স্থানীয়রা মোবাইলে কিছু ছেলের ছবি দেখালে সে নাইমকে শনাক্ত করে। তিনি তার মামার বাড়িতে থাকেন।
মেয়েটি মৌলভীবাজার হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে সদর থানার এস আই শরিফ উদ্দিন তার বক্তব্য গ্রহণ করেন।
মেয়েটি যে স্কুলে পড়ে, তার অধ্যক্ষ জানান, তিনি ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিলাদ হোসেন ও ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য জাবেদ আহমদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
এই দুই জন সালিশে বসে ঘটনাটির মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। তবে মেয়েটির স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। তারা বলেন, আপোসের চেষ্টা মেনে নেয়া হবে না। পরে নাহিদকে পুলিশে দেয়া হয়।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। মেয়েটি মামলা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’