বগুড়ার ধুনটে কিশোরীকে অপহরণের এক মাস নয় দিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে করা সালিশের মাতব্বরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, সোমবার আবু সাইদ নামের ওই মাতব্বরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে সাঈদকে নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য আবু সাইদ সালিশ বৈঠক বসান। এ জন্য তিনি এফিডেফিটের কাজ ও টাকা জোগাড় করেছেন। পুলিশের তদন্তে তার নাম পাওয়ায় গ্রেফতার করা হয়।
ওসি জানান, আবু সাইদ এজাহারভুক্ত আসামি নন। পুলিশের তদন্তে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত শনিবার মামলার আরেক আসামি ফজলুল হক ওরফে বাবুকে বগুড়া সদর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল রোববার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ডে দেয়।
একই মামলায় গত বৃহস্পতিবার ঢাকার সাভার থেকে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন আব্দুল মান্নান ও সাথী খাতুন। তারা এজাহারভুক্ত আসামি। শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই নানাবাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর যাওয়ার সময় ওই কিশোরীকে জোর করে অটোরিকশাচালিত সিএনজিতে তোলেন মাসুদ ও ফজলুল। ফজলুল স্থানীয় ইউপি সদস্য।
অপহরণের এক মাস নয় দিন পর সিরাজগঞ্জ থেকে তাকে উদ্ধার করে তার বাবা ও স্থানীয়রা।
১২ আগস্ট ধুনট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলায় মাসুদ ও ফজলুল ছাড়া পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- আবদুল হাই, আবদুল মান্নান, রুবেল হোসেন, সাথী খাতুন ও রুবিয়া খাতুন।