বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:০১

৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা ক্যান্টনমেন্টে হামলার পরিকল্পনা করেন। রাজাকারদের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে ৬ ডিসেম্বর রাতে পাক সেনারা ক্যাপ্টেন ফয়েজের নেতৃত্বে মিনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে পালিয়ে ভাটিয়াপাড়া ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেয়।

 

 

আজ ৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জ পাক হানাদার মুক্ত হয়। ৭ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী মানুষ ও সর্বস্তরের জনগণ শহরে মিছিল বের করে বিজয়ের আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন।

১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল গোপালগঞ্জে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রবেশ করে মুক্তিকামী মানুষের ওপর নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করা শুরু করে।

তারা উপজেলা পরিষদে (পদ্মপুকুর পাড়ে) মিনি ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করে। পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাপ্টেন ফয়েজ সেখানে (বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবনে) অবস্থান করতেন।

 

পাকিস্তানি হানাদাররা  মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী মানুষ ও সংগঠকদের ধরে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ পদ্মপুকুরে ফেলে দিত।

পরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে গোপালগঞ্জের মিনি ক্যান্টনমেন্ট দুর্বল হয়ে পড়ে। ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা ক্যান্টনমেন্টে হামলার পরিকল্পনা করেন।

রাজাকারদের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে ৬ ডিসেম্বর রাতে পাক সেনারা ক্যাপ্টেন ফয়েজের নেতৃত্বে মিনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে পালিয়ে ভাটিয়াপাড়া ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেয়। ফলে গোপালগঞ্জ ৬ ডিসেম্বর রাতেই শত্রুমুক্ত  হয়।

৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের মানুষ শহরে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন।

মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে গোপালগঞ্জ, মাঝিগাতী, দিগনগর সুকতাইল, ভাটিয়াপাড়া, ফুকরা, রাজাপুর, বৌলতলী, সাতপাড়সহ বিভিন্নস্থানে পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ হয়।  

এ বিভাগের আরো খবর