বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নোয়াখালীর রাজাকার ঘাঁটিতে বিজয় নিশান উড়েছিল আজ

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:২৭

৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে মাইজদী পিটিআই ও বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল হাইস্কুল ক্যাম্প ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যেতে থাকে পাকিস্তানি সেনারা।

আজ ৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নোয়াখালী জেলা শহরের পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাঁটিগুলোতে বিজয়ের পতাকা ওড়ানো হয়েছিল। দখল করা হয় রাজাকারদের ঘাঁটিগুলো।

দিনটি উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক বাদল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মো. শাহজাহান, মমতাজুল করিম বাচ্চু ও মো. মোশারফ হেসেন।

তারা জানান, পাকিস্তানি সেনারা ২৩ এপ্রিল নোয়াখালী জেলা শহরে ঢুকে। তারা কয়েক দফায় সদরের সোনাপুর, শ্রীপুর, গুপ্তাংক, রামহরিতালুক, বেগমগঞ্জের কুরীপাড়া, গোপালপুর ও আমিশাপাড়ায় নির্বিচারে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট চালায়।

জেলার কোম্পানিগঞ্জের বামনী, তালমাহমুদের হাট, ১২ নং সুইস গেইট, সদরের উদয় সাধুর হাট (ওদারহাট), করমবক্সসহ বিভিন্ন এলাকায় হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে শহিদ হন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।

৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে মাইজদী পিটিআই ও বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল হাইস্কুল ক্যাম্প ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যেতে থাকে পাকিস্তানি সেনারা।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার লুৎফুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী বেগমগঞ্জ-লাকসাম সড়কের বগাদিয়া ব্রিজ অতিক্রম করে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলা করে। এতে  অনেক সেনা মারা যায়।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন চত্ত্বর। ছবি: নিউজবাংলা           

 

৭ ডিসেম্বর ভোররাত থেকে মুক্তিযোদ্ধারা নোয়াখালীকে শত্রুমুক্ত করার চূড়ান্ত অপারেশন শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে তারা একযোগে চারদিক থেকে আক্রমণ চালিয়ে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার টেকনিক্যাল হাইস্কুলে অবস্থিত রাজাকার ক্যাম্প মুক্ত করে। একই দিন বীর মুক্তিযোদ্ধারা জেলা শহরের মাইজদী কোর্ট রেলস্টেশন, জিলা স্কুল ও দত্তেরহাট নাহার মঞ্জিল মুক্ত করে।

সকাল ৯টার দিকে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটি মাইজদীর প্রাইমারি ট্র্রেনিং ইনস্টিটিউট(পিটিআই) ঘিরে ফেলে মুক্তিযোদ্ধারা। গুলির শব্দে কেঁপে উঠে পুরো শহর।

সেদিনই বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠে মুক্তিকামী জনতা। শহরের কোর্ট বিল্ডিং, মাইজদী পিটিআই ও বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল হাইস্কুলে ওড়ানো হয় জাতীয় পতাকা।

নোয়াখালী হানাদার মুক্ত দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে পিটিআইয়ের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে নোয়াখালী মুক্তমঞ্চ।

এ বিভাগের আরো খবর