১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে চুয়াডাঙ্গায় পিছু হটতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনী। হানাদার মুক্ত হয় জেলাটি।
প্রায় নয় মাস যুদ্ধের পর ৬ ডিসেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের একমাত্র যোগাযোগ সেতু মাথাভাঙ্গা ব্রিজে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় পাকিস্তানি সেনারা। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ঘাঁটি স্থাপন করার পরিকল্পনা করে। এ খবর মুক্তি সেনারা জানতে পেরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পালাতে বাধ্য হয় হানাদার বাহিনী।
৭ ডিসেম্বর সকালে বিজয়ের বেশে চুয়াডাঙ্গায় প্রবেশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে আনন্দ উল্লাস করে এলাকার মুক্তিকামী মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, যুদ্ধে ৪৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। এ ছাড়া ২ হাজার ৫৫০ জন সাধারণ মানুষ হানাদারদের হামলায় প্রাণ হারায়।
আজ দিবসটিকে ঘিরে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সকাল ৯টায় শহরের শহিদ হাসান চত্বরে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পরে দামুড়হুদার আট শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার। এ সময় শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নেই। ১৯৯৪ সালে শহিদ হাসান চত্বরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হলেও তা অবৈধ স্থাপনা হিসেবে ২০০১ সালে ভেঙে ফেলা হয়।
দীর্ঘ দিন ধরে জেলার মুক্তিযোদ্ধারা একটি স্মৃতিস্তম্ভ দাবি করে আসছেন। তারা মনে করেন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানাতে স্মৃতিস্তম্ভের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।