চলতি বছরের মধ্যেই ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০’ সংশোধন করা না হলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সামুদ্রিক মৎস্য আইন প্রতিরোধ কমিটি নামের একটি সংগঠন।
রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান সংগঠনটির সমন্বয়ক এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুল ইসলাম রাশেদী।
লিখিত বক্তব্যে রাশেদী বলেন, ‘গত ১৬ নভেম্বর আইনটি সংসদে পাস হয়। ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ২০২০ সালের ১৯ নম্বর আইন হিসেবে গেজেট নোটিফিকেশন হয়েছে। আইন প্রণয়নকালে বাংলাদেশ মেরিন ফিশিং সেক্টরে বিরাজমান ও কর্মরত ফিশিং ভেসেল মালিক সমিতি, ফিশিং ভেসেল মেরিন অফিসার সংগঠন, ফিশিং ভেসেল নাবিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়নি।
‘এতে আইনটিতে অযাচিতভাবে মেরিন ফিশিং ভেসেল মালিক, স্কিপার ও মেরিন অফিসার এবং নাবিকদের তথাকথিত অথরাইজড অফিসার দিয়ে যখন তখন হয়রানি, জেল জুলুম ও লাখ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এই আইনে বঙ্গোপসাগরে মেরিন ফিশিং অপারেশন কার্যক্রমকে ব্রিটিশ আমলের ক্রিমিনাল প্রসিডিউর অ্যাক্ট ১৮৯৮ এর আওতাভুক্ত করে নির্দেশনা যুক্ত করা হয়েছে। ফিশিং লাইসেন্স ইস্যু, সেইলিং পারমিশন ইস্যুকারী মেরিন ফিশারিজ ডিপার্টমেন্ট গঠন এবং এর কর্মকর্তাদের নিয়োগে কোনো প্রভিশন নেই। যে কারণে আইনটি পাশ হওয়ার পর মেরিন ফিশিং সেক্টর অভিভাবকহীন ও মেরিন ফিশারিজ ডিপার্টমেন্ট ঠুটো জগ্ননাথে পরিণত হবে বলে জানান তিনি।
আইনে ফিশিং ভ্যাসেল নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিংয়ের দায়িত্ব মহাপরিচালক পালন করবেন বলা হয়েছে। কিন্তু এ কর্মকর্তাদের নিয়োগ যোগ্যতা কী হবে এবং ফিশিং ভেসেল মেরিটাইম যোগ্যতা থাকবে কিনা তা উল্লেখ নেই। তাই আইন বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানানো হয়।
তাই অবিলম্বে আইনটি প্রত্যাহারের দাবি জানান সামসুল ইসলাম রাশেদী।
একই সঙ্গে তা প্রত্যাহার করে নিয়ে নতুন করে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে ও মেরিটাইম বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপ্টেন মাহতাব উদ্দিন, ফয়েজুর রহমান, দোলন কুমার বড়ুয়া, মোরশেদ রশিদ আহমেদ, ইমরান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।