ঢাকার সাভার ও ধামরাই উপজেলায় ৪৮ ঘণ্টায় ২৫ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের কাছ থেকে জব্দ হয়েছে ৬১ হাজার টাকা ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম।
রোববার দুপুরে ধামরাই থানা পুলিশ গ্রেফতার ১৫ জুয়াড়িকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠায়। এর আগে, শনিবার দুপুরে ১০ জুয়াড়িকে আদালতে পাঠানো হয়।
ধামরাই থেকে গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার বড় চন্দ্রাইল মহল্লার মোস্তফা, তোবারক হোসেন ও বাবুল মিয়া। ছোট চন্দ্রাইলের বাবুল হোসেন, দেলধা গ্রামের কালাম হোসেন, পাঠানটোলার মতিউর রহমান, পৌর এলাকার লাকুরিয়া পাড়ার শামীম হোসেন ও ফিরোজ কবির, যশোর জেলার হান্নান ও হাসানুর, নীলফামারীর সুমন আলী ও রনি মিয়া।
আশুলিয়া থেকে গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বগুড়ার আব্দুর রাজ্জাক, বেল্লাল হোসেন, রাজশাহীর মঞ্জুরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও ইসরাইল হোসেন, টাঙাইলের বাদশা মিয়া, নওগাঁর মাসুদ রানা ও রাজু মন্ডল , মাদারীপুরের নুরুল ইসলাম খলিফা এবং নাটোরের কামরুল সরদার।
র্যাব জানায়, শনিবার গভীর রাতে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করা হয়। এ সময় জুয়া খেলার ২৮ হাজার টাকা ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।
এর আগে, শনিবার বিকেলে আশুলিয়ার তালপট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জুয়াড়িকে আটক করে র্যাব। উদ্ধার হয় ৩৩ হাজার টাকা। পরে আটকদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের শেষে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-৪ কোম্পানি কমান্ডার এ এইচ এম আদনান তফাদার নিউজবাংলাকে বলেন, 'শনিবার রাতে জুয়ার আসর থেকে আটক ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের রোববার সকালে ধামরাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।'
এছাড়া শনিবার বিকেলে আশুলিয়ায় থেকে ১০ জনকে আটকের পর মামলা হয়েছে। ভবিষ্যতে জুয়াড়িদের দৌরাত্ম্য বন্ধে, তাদের ঝটিকা অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে র্যাব।