বরিশালের হিজলা উপজেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানরের ম্যুরালের সামনে সমাবেশ করা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংর্ঘষ হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ।
একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলন। তাদের সমাবেশ চলাকালে একই স্থানে সমাবেশ করতে আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপু ও সহসভাপতি এনায়েত হোসেন হাওলাদারের অনুসারীরা।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চত্বর দখল নিতে গিয়ে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া দেন ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলন জানান, ‘আমাদের প্রোগ্রাম ছিল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং অন্য গ্রুপের প্রোগ্রাম ছিল ১১ টায়। কিন্তু ১০ টার আগেই পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করা হয়। এটা দুঃখজনক ও আপত্তিকর।’উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপু বলেন, ‘আমরা জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু বেলায়েত ঢালী ও নজরুল ইসলাম মিলনসহ তাদের লোকজন আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। আমার নেতা-কর্মীদের আহত করেছে।’হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার জানান, পুলিশ দুই পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে কোনো পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান, তিনি বলেন, বেলায়েত হোসেন ঢালীকে সকাল ১০টায় এবং সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপুকে বেলা ১১টায় সমাবেশ করার জন্য মৌখিক অনুমতি দেয়া হয়েছিল।