বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:৫৩

৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে এবং ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকিস্তানি সেনাসহ রাজাকাররা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়।

হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ ৬ ডিসেম্বর । ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে হবিগঞ্জ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। মুক্ত হয় হবিগঞ্জ জেলা।

১৯৭১ সালে সারা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ নিয়ে ছিল ৩ নম্বর সেক্টর। এই সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন মেজর শফিউল্লাহ। তার নেতৃত্বে হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে পাকিস্তানিদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিবাহিনী জেলা শহরের কাছাকাছি এসে পৌঁছায়।

৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে এবং ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকিস্তানি সেনাসহ রাজাকাররা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা মো. শাহাজাহান মিয়ার নেতৃত্বে ৩৩ জন মুক্তিযোদ্ধা প্রথম হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে অস্ত্র উচিয়ে হবিগঞ্জকে মুক্ত ঘোষণা করেন।

পরে হবিগঞ্জ সদর থানা কম্পাউন্ডে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহান। শহরবাসী বাংলার দামাল মুক্তিযোদ্ধাদের অভিবাদন জানায়। তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্ত হবিগঞ্জ শহরের রাস্তায় নেমে এসে বিজয়ের উল্লাস প্রকাশ করে।

হবিগঞ্জের প্রথম বিজয় পতাকা উত্তোলনকারী মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে জেলার ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। যুদ্ধে আহত হন ৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। এ ছাড়া হানাদারদের নির্মম নিষ্ঠুররতার শিকারে শহীদ হন অসংখ্য নারী-পুরুষ। এখনও অনেক মুক্তিযোদ্ধার কবর চিহ্নিত বা সংরক্ষণ করা হয়নি।’

তিনি বলেন আমাদের দাবি, ‘হবিগঞ্জের সকল মুক্তিযোদ্ধার কবর চিহ্নিত করে সেগুলো সংরক্ষণ করা। এছাড়া হবিগঞ্জ মুক্ত দিবসটি সরকারিভাবে পালন করা হোক।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ। এরপরও হবিগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ও স্থাপনা সংরক্ষণ হয়নি। এ ছাড়া আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিলেও কোনো আইডি কার্ড দেয়া হয়নি। আমরা চাই আমাদেরকে আইডি কার্ড দেয়া হোক।’

এ বিভাগের আরো খবর