ফরিদপুরে মাছ চুরির মামলায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এম এ সালম লালকে (৭২) গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে তাকে জেলার মুখ্য বিচারক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরের ভাটিলক্ষ্মীপুরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে দুই নম্বর ফাঁড়ির পুলিশ।
এম এ সালমের মেয়ে এলিজা আক্তার বলেন, ‘হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বাবাকে। যিনি জাতির জন্য যুদ্ধ করেছেন, আর তাকে এখন মাছ চুরির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এটি জাতির জন্য লজ্জাজনক উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
শুক্রবার বিকেলে এম এ সালামকে ফাঁড়ি থেকে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় নেয়া হয়। শনিবার দুপুরে জেলার মুখ্য বিচারক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ফরিদপুর দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘শহরের সিএন্ডবি ঘাট এলাকার হাশেম ফকির গত ১৩ জুলাই এম এ সালামের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলার এজাহার অনুযায়ী হাশেম সিএন্ডবি ঘাট এলাকায় একটি পুকুরে মাছের চাষ করেছিলেন। ওই মাছ চাষ করার জন্য হাশেমের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এম এ সালাম। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় সালাম তার লোকজন নিয়ে ওই পুকুরের সব মাছ ধরে নিয়ে যান।’
ফরিদপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শামসুদ্দীন ফকির বলেন, ‘৭২ বছর বয়সী একজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি অসুস্থ, এমনকি তিনি একজন সাবেক কমিশনার তার পক্ষে মাছ চুরির অপবাদ কতটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে। রোববার আমরা মুক্তিযোদ্ধারা সংসদে বসে আলোচনা করে এ ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করব।