বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারা ফটকে বাদী-আসামি বিয়ে

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৫৭

কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালার উপস্থিতিতে দুপুর সাড়ে ১২টার পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সিনিয়র জেল সুপার কনেকে একটি নতুন শাড়ি উপহার দেন। দুই পরিবারের সবাইকে মিষ্টিমুখ করান।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দিলীপ খালকোর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিয়ের কনেসহ দুই পরিবারের অন্তত ১৪ জন কারাগারে যান। তাদের সঙ্গে গিয়েছিলেন ধর্ষণের পর জন্ম নেয়া ভুক্তভোগী নারীর আট বছরের ছেলেও।

এর আগে ধর্ষণ মামলায় আট বছর ধরে কারাবন্দী দিলীপ খালকোকে বিয়ের শর্তে জামিন দেয়ার কথা বলে আদালত।

২০১২ সালে আদালত দিলীপ খালকোকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। সম্প্রতি উচ্চ আদালতে দিলীপের আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারী আদালতে বলেন, তারা বিয়ে করতে চান। আসামিকে জামিন দিলে তার আপত্তি নেই। পরে আদালত কারা ফটকেই তাদের বিয়ের আদেশ দেন।

শনিবার কনেসহ দুই পরিবারের সদস্যরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত একটি নসিমনে চড়ে কারাগারের সামনে আসেন। এরপর তাদের কারা ফটকে ঢোকানো হয়। আগে থেকেই উপস্থিত হয়েছিলেন হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার কৃষ্ণা দেবী এবং পুরোহিত পরিমল চক্রবর্তী। কনেপক্ষ আসার পর কারাগার থেকে বর দিলীপ খালকোকে আনা হয়।

কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালার উপস্থিতিতে দুপুর সাড়ে ১২টার পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সিনিয়র জেল সুপার কনেকে একটি নতুন শাড়ি উপহার দেন। দুই পরিবারের সবাইকে মিষ্টিমুখ করান।

দিলীপ কয়েদি হিসেবে এখনও কারাবন্দি থাকায় বিয়ের ছবি তোলা যায়নি। তবে দিলীপের অনুভূতি জানা গেছে।

দিলীপ বলেন, ‘বিয়ে করে ভালোই লাগছে। সবাই দোয়া করবেন। যেন সুখে-শান্তিতে সংসার করতে পারি।’

কনে বলেন, ‘আমরা চাই যেন বাকি জীবনটা ভালভাবে কাটাতে পারি।’

সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বলেন, ‘উচ্চ আদালত আমাদের দিলীপের বিয়ে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিন দিন আগে আদেশের কপি পাওয়ার পরই দুইপক্ষকে ডাকি। সুষ্ঠুভাবে বিয়েও সম্পন্ন হলো। এখন যত দ্রুত সম্ভব বিয়ের কাগজপত্র উচ্চ আদালতে পাঠানো হবে।’

দিলীপ ও ধর্ষণের শিকার নারী সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। এর সূত্র ধরে ভিকটিমকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। ওই নারী গর্ভবতী হলে পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান দিলীপ।

বিষয়টি নিয়ে প্রথমে সালিশ এবং পরে ধর্ষণের মামলা করেন নারীর পরিবার। আসামির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর বিচার শেষে ওই বছরের ১২ জুন এক রায়ে দিলীপ খালকোকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।

যখন ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর। সেই বয়সেই তিনি মা হন। দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। কনের সম্মতিতেই আদালত তাদের বিয়ের আদেশ দেন। এখন বিয়ের কাগজপত্র উচ্চ আদালতে গেলে জামিন পেতে পারেন দিলীপ খালকো।

এ বিভাগের আরো খবর