বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুড়ি ও কমলগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:০৩

বিজয়ের ৫০ বছর হতে চললেও জুড়িতে একটি বধ্যভূমিও সংস্কার করা হয়নি। এগুলো অবহেলায় পড়ে আছে। এ ছাড়া তরুণ প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর কোনো উদ্যোগও নেয়া হয়নি।

১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের জুড়ি ও কমলগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পিছু হঠতে বাধ্য হয়। হানাদার মুক্ত হয় এলাকা দুটি।

মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কুলেশ চন্দ্র চন্দ আক্ষেপ প্রকাশ করে নিউজবাংলাকে জানান, বিজয়ের ৫০ বছর হতে চললেও জুড়িতে একটি বধ্যভূমিও সংস্কার করা হয়নি। এগুলো অবহেলায় পড়ে আছে। এ ছাড়া তরুণ প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর কোনো উদ্যোগও নেয়া হয়নি।

কুলেশ চন্দ্র জানান, অনেক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে, অনেকে রোগে ভুগছেন। এখন পর্যন্ত এখানে কোনো মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স না থাকায় তারা বসার কোনো জায়গা পান না।

মৌলভীবাজারের জুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বধ্যভূমিটি ডোবায় পরিণত হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা 

 

কমলগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মুনিম তরফদার জানান, কাজী আমিনুল হকের নেতৃত্বে কমলগঞ্জ মুক্ত হয়। ওই দিন ডাকবাংলো ও ধলাই নদীর দুই পারে তুমুল যুদ্ধ হয়। সম্মুখ যুদ্ধে চার জন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। এক পর্যায়ে হানাদার বাহিনী এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।

আবদুল মুনিম জানান, ডাকবাংলোসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণ না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধাদের ভুলে যাবে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর