বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রশাসনের নিষেধ উপেক্ষা চার ক্লিনিকের

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:৩৪

সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ জানিয়েছেন, বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কেউ যদি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লাইসেন্স, চিকিৎসার পরিবেশ ও মেডিক্যাল ডিপ্লোমা নার্স না থাকায় নওগাঁয় চারটি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানাও করা হয়েছে।

কিন্তু ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলো তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে বিধিনিষেধে উপেক্ষা করে ক্লিনিকগুলো অবাধে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

১১ নভেম্বর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে শহরের কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় চিকিৎসার যথাযথ পরিবেশ না থাকায় সৌদিয়া হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নওগাঁ শিশু হাসপাতাল ও ডায়ানোস্টিক সেন্টারে লাইসেন্সবিহীন, ডিউটি ডাক্তার ও মেডিক্যাল ডিপ্লোমা নার্স না থাকায় ১০ হাজার টাকা, মান্দা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিককে ৫ হাজার টাকা এবং মেট্রো হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা দেয়ায় ৫ হাজার টাকা ও শাহ নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ১ মাসের জন্য চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।

১২ নভেম্বর পোরশা উপজেলার সরাইগাছি মোড়ের মজিদা ক্লিনিকের ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ বন্ধ, নুর ফাউন্ডেশন ক্লিনিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের জন্য বন্ধ, অব্যবস্থাপনার কারণে একতা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ৫ হাজার টাকা এবং হবির মোড় আল-মদিনা ক্লিনিকের ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ১৬ নভেম্বর নিয়ামতপুর উপজেলা সদরের নূরেছা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মালিককে ৩০ হাজার টাকা এবং নিরাময় ক্লিনিকের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ জেলায় ৮৭টি ক্লিনিক এবং ১৩২ টি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার থাকলেও লাইসেন্স রয়েছে অর্ধেকের মতো। বাকিগুলোর লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।

অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার আবেদন করার পরই চালু করা হয়েছে। আবার যে কয়টি বেডের অনুমতি থাকার কথা তার বেশি বেড যুক্ত করে ক্লিনিক পরিচালনা করা হচ্ছে।

এছাড়া ক্লিনিকের জন্য নির্ধারিত নেই ডিউটি ডাক্তার ও মেডিক্যাল ডিপ্লোমা নার্স। নিয়মবর্হিভূতভাবে গড়ে ওঠা এসব ক্লিনিকে রোগীরা যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না।

সম্প্রতি রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

মান্দা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিকের পরিচালক আব্দুস সাত্তার ও শাহ নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের পরিচালক শাহ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তাদের ক্লিনিককে জরিমানা করা হয়েছে। তবে রোগীর সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশ দেয়া হয়নি। আমরা কাগজপত্র প্রস্তুত করে সিভিল সার্জন অফিসে জমা দেব।’

সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে তাদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ত্রুটিগুলো ঠিক না করা পর্যন্ত এ সেবা বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা সেবায় তাদের যে ঘাটতি আছে সেগুলো ঠিক করে আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা পরিদর্শন করে আবারও পরিচালনা করার অনুমোতি দেব। তবে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কেউ যদি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর