ফরিদপুরে সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত একটি সেফ হোম থেকে পালিয়ে গেছে চার তরুণী।
শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ওই চারজন পালিয়েছে অভিযোগে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত ১৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পালিয়ে যাওয়া নিবাসীদের কোনো সন্ধান মেলেনি।
‘মহিলা ও শিশু কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন’ নামের সেফ হোমটি সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালনা করে। সেটি শহরের টেপাখোলা এলাকায় সোহরাওয়ার্দী লেক পাড়ের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।
সেফ হোম সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে ৭২ জন নিবাসী ছিলেন। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই আনসার সদস্য সালমা বেগম ও বিউটি আক্তারের ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে গ্রিল ভেঙ্গে প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায় চারজন।
পালিয়ে যাওয়া ওই চার তরুণী হলেন, রাজবাড়ী কোর্ট থেকে আসা সোনালী আক্তার (২১), গোয়ালন্দের আলিসা (২০), গোপালগঞ্জের ময়না (১৮) এবং শরীয়তপুরের আছিয়া (১৭)।
এরা সবাই ভবঘুরে হিসেবে জেলা ও উপজেলায় পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে ওই সেফ হোমে ছিলেন।
এদের মধ্যে আলিসা ২০১৫ সাল থেকে সেখানে ছিলেন। বাকিরাও তিন কিংবা চার বছর ধরে আছেন। এদের আইনগত অভিভাবক না পাওয়ায় আদালত তাদের সেফ হোমে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই সেভ হোমের উপতত্ত্বাবধায়ক রুমানা আক্তার বলেন, ‘নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই আনসার সদস্য ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে পালিয়ে যাওয়ার এ ঘটনা ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া নিবাসীদের সন্ধানে পুলিশের পাশাপাশি সেফ হোম কর্তৃপক্ষও কাজ করছেন।’
ফরিদপুর সমাজ সেবা অধিদফতরের উপপরিচালক আলী আহসান বলেন, ‘ওই নিবাসীদের নিরাপদে রাখার জন্য জেলখানার মত ১৮ ফুট উচু সিমানা প্রাচীর ও মোটা গ্রিল সেফ হোমে ছিল না। গ্রিল ছিল সরু ও সীমানা প্রাচীর ছিল ছয় ফুট উচ্চতার।
‘পলাতকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ফরিদপুর সেফ হোম থেকে কোনো নিবাসীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটল।’
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই সময় যে দুই আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া তরুণীদের উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলছে।’