স্ত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রির মামলায় এক জনের সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বরিশালের একটি আদালত।
দণ্ডিত ফরিদ উদ্দিন মল্লিক রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন না। তাকে গ্রেফতারে জারি করা হয়েছে পরোয়ানা।
ভুক্তভোগী নারীকে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। ফরিদ গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের ৩০ দিনের মধ্যে এই অর্থ পরিশোধ করবেন। না দিলে সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
বৃহস্পতিবার বরিশাল মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
গত ২২ মার্চ বরিশালে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পর এটিই প্রথম রায়।
ফরিদ উদ্দিন মল্লিক বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। বাবুগঞ্জ উপজেলার উত্তর রহমতপুর এলাকায় শ্বশুর বাড়ির পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
মামলায় বলা হয়, ২০০৭ সালের ৬ অক্টোবর বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় যান ফরিদ। পরদিন ফারজানাকে খুলনা নিয়ে যৌনপল্লীর মিন্টু সর্দারের কাছে বিক্রি করে দেন।
প্রায় দুই মাস পর ভুক্তভোগী নারীর বাবা ও শ্বশুর খুলনার ফুলতলা থানা পুলিশের সহায়তায় ওই নারীকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় সর্দান মিন্টু ও সর্দারনী হোসনেয়ারাকে।
১২ ডিসেম্বর ফরিদউদ্দিন ও যৌনপল্লীর সর্দার ও সর্দারনীর বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।
পুলিশ ২০০৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুই আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে ফরিদউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় আদালতে।
ট্রাইব্যুনালে পাঁচ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করে।