মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়া হয়নি তার। ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিবারের চাপে বসতে হয়েছিল বিয়ের আসরে। বান্ধবীকে খুলে বলেছিল সব। পরে সহপাঠীই উদ্ধার করে।
১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ের আয়োজনের কথা পুলিশকে জানায় সেই সহপাঠী। পুলিশ বিয়েবাড়ি গিয়ে থামাল বিয়ে, পড়াশোনা শেষ করার স্বপ্ন আবার ফিরে পেল মেয়েটি।
ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারে। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক এর নেতৃত্বে শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিয়ে।
পুলিশ জানায়, সদর থানার আজাদ বখত স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৬ বছরের মেয়েটির সঙ্গে জেলার রাজনগর থানার ২৮ বছর বয়সী হেলাল মিয়ার বিয়ে হবার কথা ছিল বৃহস্পতিবার।
পুলিশ আসার পর পরিবারটি দাবি করে, মেয়েটি সাবালিকা। কিন্তু মেয়েটিকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় জন্মনিবন্ধন ও স্কুলের রেজিস্ট্রেশন কার্ড আনতে বলে পুলিশ। পরে জন্মতারিখ হিসাব করে তার আসল বয়স বের হয়।
পুলিশ জানায়, বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরার পর পরিবারটি তাদের ভুল বুঝতে পারে। তারা অনুতপ্তও হয়। পরে তারা লিখিত আবেদন ও মুচলেকা দেন যে তারা মেয়েটির বয়স ১৮ বছর না হলে বিয়ে দেবেন না।
ওসি ইয়াছিনুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ জনগণের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে অপরাধের কারণ চিহ্নিত করে সেগুলো দূর করার চেষ্টা করে। অপরাধ হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করা পুলিশের দায়িত্ব।’
ওসি বলেন, ‘আজকে যে নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে সে আগামীতে স্বামী পরিত্যাক্তা, অনিচ্ছাকৃত অন্তঃসত্ত্বা, অপু্ষ্টিজনিত শিশুর মা হতে পারেন। পারিবারিক কলহে আত্মহত্যাও করতে পারে, যৌতুকের দায়ে নির্যাতিত বা হত্যার শিকার হতে।’