রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পৌঁছে দিতে চট্টগ্রামে একটি ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নৌ বাহিনী রেডি রেসপন্স বাথ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তাবু টাঙিয়ে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।
এ সময় কোস্টগার্ড জেটিতে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি জাহাজকে।তবে এই বিষয়ে নৌ বাহিনীর কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রথম দফায় ১০টি বাসে ভাসানচরের উদ্দেশে কক্সবাজারের উখিয়ার ডিগ্রি কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ছাড়ে রোহিঙ্গাদের একটি দল। এরপর দুপুর ১টার দিকে আরও ১০টি বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়।
রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি বাসে ৪৬ জন ছিলেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এক হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল। গণমাধ্যমকর্মীদের কাছেও মুখ খোলেননি কোনো কর্মকর্তা।
সন্ধ্যায় রোহিঙ্গাদের বহনকারী গাড়ি চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। সাতটা ১০ মিনিটে ১০টি গাড়ি নৌবাহিনীর বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে এসে পৌঁছায়।
কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ২০টি বাসে করে রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে। জাহাজে উঠানোর আগে রোহিঙ্গাদের ট্রানজিট পয়েন্টে রাখা হবে।