ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাতলামারী বাজারে সুমন হালদারের ছিল প্রসাধনী পণ্যের দোকান। সে দোকানে আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে মিনা আক্তার নামে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। তবে সম্পর্কটি পরিণতিতে যেতে পারেনি। ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে মনোমালিন্যে দুই জনই আত্মাহুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত সোমবার সুমনের চলে যাওয়ার তিন দিনের মাথায় প্রেমিকা মিনার মৃত্যুর খবর আসে।
তবে সুমনের বাবা ও মামার দাবি, মিনা ও তার পরিবার সুমনকে হত্যার পর দেহ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার সঠিক বিচারও চান তারা।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, গত সোমবার রাতে সুমন দোকান বন্ধ করে মিনার সঙ্গে দেখা করতে যান। তবে ধর্মের কারণে সম্পর্কের পরিণতি ও বিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর মিনার বাড়ির পাশের একটি গাছে গলায় ফাঁস দেন সুমন। টের পেয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে সুমনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান মিনা। সেখানে চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করে।
মিনার মা জানান, সুমনের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি তার মেয়ে। সুমনের আত্মাহুতির পর খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয় সে। কারও সঙ্গে কথাও বলত না।
তিনি আরও জানান, বুধবার বিকেলে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় মিনা। পরে সবাই ঘুমিয়ে গেলে ভোররাতের দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
এদিকে সুমনের মৃত্যু নিয়ে পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে এটা হত্যা, না আত্মহত্যা জানা যাবে।