নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ও জবাই করে খুনের ১৭ বছর পর স্ত্রীকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত রোজিনা বেগম (৪২) ফতুল্লার চিতাশালের নুরবার্গ এলাকার নিহত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
আদালতের অতিরিক্ত কৌঁসুলি জাসমিন আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, ফতুল্লার চিতাশালের বাড়িতে থেকে নিহত সিরাজুল ইসলাম জুরাইন রেলগেইট বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। তার স্ত্রী রোজিনা বেগমের সঙ্গে প্রেমের ছিল সিরাজুলের ছোট ভাই শফিকুল ইসলামের।
তিনি জানান, ঘটনার দিন ২০০৩ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে সিরাজুল ও তার ভাই শফিকুল দোকান বন্ধ করে ফতুল্লার চিতাশাল এলাকায় তাদের বাড়িতে আসেন। ২৪ অক্টোবর রাত ৩টায় দিকে রোজিনা ও শফিকুল প্রতিবেশীদের জানায়, ঘরে সিরাজকে পাওয়া যাচ্ছে না। খবর পেয়ে সিরাজুলের বড় ভাই মফিজুল ইসলাম তাদের বাড়ি যান। পরে তালাবদ্ধ পাশের ঘরের দরজা খুলে দেখেন সিরাজুল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
সিরাজুলের স্ত্রীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন নিহতের বড় ভাই মফিজুল ইসলাম।
অতিরিক্ত কৌঁসুলি জাসমিন আহমেদ বলেন, ‘স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামি রোজিনা বেগমকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।’
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত আসামি রোজিনা বেগমকে নারায়ণগঞ্জের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।