টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সাবেক পৌরমেয়র সহিদুর রহমান খাঁন মুক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মামলায় ছয় বছর ‘পলাতক’ এই আসামি বুধবার সকালে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। সঙ্গে ছিলেন তার বাবা টাঙ্গাইল-৩ আসনের সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খাঁন ও আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বড়ভাই আমানুর রহমান খাঁন রানা।
শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইল অতিরিক্ত প্রথম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সিকান্দার জুলকার নাইন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মনিরুল ইসলাম খান জানান, সকাল ১১টায় মুক্তি তার বাবা আতাউর রহমান ও ভাই সাবেক সংসদ সদস্য রানাকে নিয়ে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হন। এরপর তারা তার আত্মসমর্পণ ও জামিন আবেদনের কাগজ জমা দেন। শুনানি শেষে বিকেল তিনটার দিকে মুক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এর তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে গোয়েন্দা পুলিশ রাজা ও মোহাম্মদ আলীর নামক দুই জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জবানবন্দিতে হত্যার সঙ্গে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের তৎকালীন এমপি আমানুর রহমান খাঁন রানা এবং তার তিন ভাই পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপরই রানা ও মুক্তিসহ চার ভাই আত্মগোপনে যান।
এভাবে ২২ মাস থাকার পর ২০১৪ সালে আদালতে আত্মসর্মপণ করেন রানা। প্রায় দুই বছর কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। তার অপর দুই ভাই পলাতক রয়েছে। আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।