খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সীমিত আকারে পার্বত্য চুক্তির ২৩ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, আলোচনা সভা, মাস্ক বিতরণ ও সন্ধ্যায় ফানুস উড়ানো।
সকাল সাড়ে ১০টায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ইনস্টিটিউট হল রুমে কেক কাটা ও আলোচনা সভা হয়।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, উন্নয়ন হয়েছে। এই চুক্তি দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সংস্কার) পার্বত্য চুক্তির ২৩ বছর উপলক্ষে আলাদা কর্মসূচি পালন করেছে।
সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণজমায়েত শেষে মিলনপুর মারমা উন্নয়ন সংসদ কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জনসংহতি সমিতির সভাপতি সুভাষ কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা। প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক।
আলোচনা সভায় বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন দ্রুত কার্যকর ও পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানান।
পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) জেলার দীঘিনালা উপজেলায় কল্পরঞ্জন চাকমা মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে। সংগঠনটির সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রফুল্ল চাকমা, প্রীতিময় চাকমা, জনাধন দে। তারাও পূর্ণ পার্বত্য চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।