বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরকীয়ার জন্যই সন্তান হত্যা

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০১:০৮

মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমলূক জবানবন্দি দেন মা ফাহিমা খাতুন।

পরকীয়া প্রেমের জন্যই তিন শিশু সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যারচেষ্টা করেন মা। দুই সন্তান বেঁচে গেলেও হার মেনেছে ছোট মেয়ে সাথী আক্তার (৬)। ঘটনার এক বছর পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে সন্তানদের হত্যাচষ্টা ও হত্যার রহস্য।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলে বিষয়টি জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।

তার আগে মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমলূক জবানবন্দি দেন মা ফাহিমা খাতুন (২৮)।

তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চারিনাও গ্রামের টমটম চালক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আদালতকে ফাহিমা জানায় স্বামীর অভাব অনটনের কারণে জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওলিপুরে প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি নেয় সে। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে পাশের বাড়ির বিত্তশালী আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ফাহিমার। তাদের এ অবৈধ সম্পর্ককে বাস্তবে রূপ দিতে গিয়ে তারা বুঝতে পারে ‘পথের কাঁটা’ ফামিহার তিন শিশু সন্তান। তাই আক্তার ও ফাহিমা মিলে তাদের হত্যার পরিকল্পনা করেন।’

তিনি জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর প্রেমিক আক্তার বিষ কিনে ফাহিমাকে দেয়। ১৮ অক্টোবর দুপুরে ফাহিমা জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তিন সন্তানকে খাইয়ে দেয়। তারা ছটফট করতে থাকলে সন্ধ্যায় তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিলে ছয় বছর বয়সী সাথী আক্তার মারা যায়।

অপর দুই সন্তান তোফাজ্জল ইসলাম (১০) ও রবিউল ইসলামকে (৭) দ্রুত সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে তারা বেঁচে যায়। এরপর সকলেই স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘটনার কিছুদিন পর আক্তার হোসেন ও ফাহিমার প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ পায়। এতে ফাহিমার স্বামীর সন্দেহ বাড়তে থাকে। সে নিশ্চিত হয় ফাহিমা ও আক্তার মিলিতভাবেই তাদের সন্তানকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন।

গত ২৯ নভেম্বর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফাহিমাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। মঙ্গলাবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ফাহিমা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার ওসি মাসুক আলী ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর