বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এইডস আক্রান্ত ২০ নারীর সুস্থ সন্তান প্রসব

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:১২

২০১৪ সাল থেকে এই পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২০ জন মা এইচআইভি মুক্ত সন্তান জন্ম দিয়েছেন। এসব শিশু মায়ের বুকের দুধও পান করেছে।

সানজিদা আলম (ছদ্মনাম)। ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রিভেনশন অফ মাদার টু চাইল্ড ট্রান্সমিশন (পিএমটিসিটি) সেন্টারে তার এইচআইভি/এইডস শনাক্ত হয়। তখন তিনি সন্তানসম্ভবা। তাই তার গর্ভের সন্তানও এইচআইভি আক্রান্ত হয় কি না—এ নিয়ে ছিল তীব্র উদ্বেগ।

চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকে ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর তার সন্তানের জন্ম হয়। এরপর পরীক্ষা করে দেখা যায়, নবজাতকের শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ নেই।

শুধু সানজিদা নন, ২০১৪ সাল থেকে এই পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২০ জন মা এইচআইভি মুক্ত সন্তান জন্ম দিয়েছেন। এসব শিশু মায়ের বুকের দুধও পান করেছে।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের প্রধান ও এইচআইভি সেবা জোরদার প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট শাহানারা চৌধুরী জানান, জন্ম নেয়া ২০ জন শিশু সুস্থ আছে। তাদের নিয়মিত চেকআপ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মা হতে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে এ হাসপাতালে পিএমটিসিটি সেবাটি চালু রয়েছে। গর্ভবতীরা বিনা মূল্যে এ সেবা নিয়েছেন।

চিকিৎসক শাহানারা চৌধুরী বলেন, সন্তান প্রসবের আগে সাধারণত একজন প্রসূতির ছয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু এখন এইচআইভিসহ সাতটি পরীক্ষা করানো হচ্ছে; যাতে এইচআইভি সংক্রমণ রোধ করা যায়।

চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সাবেক প্রধান ও এইডস বিশেষজ্ঞ এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, এইচআইভি আক্রান্ত ২০ নারী সুস্থ সন্তান প্রসব করার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করা সম্ভব। এইচআইভি ভাইরাস বহনকারী ব্যক্তি সঠিক চিকিৎসা নিলে বছরের পর বছর বেঁচে থাকতে পারবেন। 

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের ৯৫ শতাংশ রোগী প্রবাসী। তাদের কারণে এইচআইভি ঝুঁকি বাড়ছে। তাই প্রবাসীদের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টি করতে পারলে এ রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে। এ ছাড়া যৌনকর্মী, মাদকসেবীসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।’

চমেক হাসপাতাল পিএমটিসিটি সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের এ পর্যন্ত এইচআইভি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩৯ জন। এ সময়ে এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক জন। এই পর্যন্ত সেন্টারটিতে ৪১১ জনের এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার চমেক হাসপাতালে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। সকাল ১০ টায় শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে।

এ বিভাগের আরো খবর