বরগুনার বামনা উপজেলায় একটি ছাগল মেরে ফেলতে পেটে ছুরি বসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
বামনার সারওয়ারজান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে নয়; অসাবধানতাবশত ঘটেছে এমন ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, রোববার বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আঘাতে ছাগলটির পাঁজর ভেদ করে পেটে ঢুকে যায় ছুরি।
ছাগলটিকে সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বামনা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের চিকিৎসকরা।
সোমবার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বামনা থানা পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান।
ছাগলটির মালিক বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর গ্রামের সৈকত হাওলাদার বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার ছাগলটি মেরে ফেলতে পাঁজরে ছুরি বসিয়ে দেন শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম।’
মামলার পরিকল্পনা করছেন তিনি বলেন, ‘এর আগেও আমাকে ও আমার পরিবারকে ক্ষতি করতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।’
এ বিষয়ে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার জমিতে রোপণকৃত ধানের চারা এই ছাগল খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। ছাগলটির কাছ থেকে ধান ক্ষেত সুরক্ষিত রাখার জন্য বেড়া দিচ্ছিলাম। এ সময় ছাগলটি এসে ধানের চারা খাওয়া শুরু করে। তখন আমি ছাগলটি তাড়িয়ে দিতে হাতে থাকা ছুরি ছুড়ে মারি। এতে ছুরিটি ছাগলের শরীরে বিদ্ধ হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারিনি ছুড়ে মারা ছুরিটি এভাবে ছাগলের পেটে বিদ্ধ হবে। একজন শিক্ষক হয়ে আমার এ ধরনের কাজ করা একদম সঠিক হয়নি।’
বামনা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মরত ড্রেসার মো. শেলিম খান বলেন, ‘ছুরি বিদ্ধ হয়ে ছাগলটির পাকস্থলী চার ইঞ্চির মতো কেটে গেছে। আমরা সাধ্য অনুযায়ী ছাগলটি বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি।’