বিকাশে প্রতারণার শিকার হয়েছিল রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারকরা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছিল ৫১ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) অভিযোগ দেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারকদের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। ডিবি কর্মকর্তার পরামর্শে ছাত্রী ওই প্রতারক চক্রের এক জনের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে।
রোববার বিকেলে এক প্রতারক তার সহযোগীকে নিয়ে ফরিদপুর থেকে ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসে রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে। সেখানে আগে থেকেই সাদা পোশাকে অবস্থান করছিলেন ডিবি সদস্যরা। তারা ওই দুই জনকে আটক করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিবির উপ-কমিশনার (ডিসি) আবু আহাম্মদ আল মামুন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আটক দুই জন হলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার জাঙ্গালপাশা মধ্যপাড়া গ্রামের হাসান খান ও জাঙ্গালপাশা পূর্বপাড়া গ্রামের মাহমুদ হাসান ওরফে বায়েজিদ।
এরা পেশাদার প্রতারক। মোবাইল ফোনে কল দিয়ে কৌশলে বিকাশের পিন নম্বর হাতিয়ে নেয়। এরপর বিকাশের টাকা হাতিয়ে নেয়।
১৬ নভেম্বর ওই ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে কল দিয়েছিল হাসান। তবে সে নিজেকে ওই শিক্ষার্থীর কলেজের শিক্ষক বলে পরিচয় দেয়। সে বলেছিল, করোনাকালে বিকাশের মাধ্যমে সরকার শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে। কিন্তু যে নম্বরে বৃত্তির টাকা পাঠানো হবে সেই বিকাশে অন্তত ৫০ হাজার টাকা থাকতে হবে। তাহলেই এই নম্বরে সরকার টাকা পাঠাবে।
ওই শিক্ষার্থী তার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা তোলে। আগে থেকেও তার অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা ছিল। পরে হাসান কৌশলে তার পিন নম্বরটি জেনে ৫১ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলে।
ডিবির ডিসি আল মামুন আরও বলেন, ‘সবকিছু শোনার পর আমি ওই ছাত্রীকে পরামর্শ দিলাম যে অন্য একটি নম্বর থেকে ওই প্রতারকের সঙ্গে তুমি কথাবার্তা বলতে থাক। যেহেতু আগে খুব বেশি কথা হয়নি, সে হয়তো বুঝতে পারবে না। এই কৌশলটাই কাজে দিয়েছে। দুই জনকে আটক করা গেছে।
তিনি আরও জানান, ওই দুই জনের বিরুদ্ধে ছাত্রীর বাবা নগরীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের সোমবার আদালতে তোলা হবে।