ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দুবলা গ্রামের এক সড়কে কাঁদছিল একটি শিশু। একা বসে দীর্ঘক্ষণ কেঁদে চললেও আশেপাশে কাউকে দেখা যায়নি। এরপর স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে।
শিশুটির আনুমানিক বয়স ছয় মাস। সন্ধ্যা থেকে কেউই আর খোঁজ করেননি শিশুটির। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি শিশুটির পরিচয়। মা-বাবাহীন শিশুটি এখন শুধুই কাঁদছে।
স্থানীয় ও পুলিশের সূত্রে জানা যায়, বাসুদেব ইউনিয়নের দুবলা গ্রামের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন মাসুদ মিয়া। এ সময় রাস্তার পাশে একটি শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান তিনি। একটু সামনে এগিয়ে গেলে সড়কের পাশে একটি শিশুকে কাঁদতে দেখেন। পরে সে এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানিয়ে ওই গ্রামের জহিরের বাসায় শিশুটিকে রেখে সদর থানার পুলিশকে অবহিত করে।
জহির মিয়া বলেন, ‘শিশুটিকে ফেলে যাওয়ার আগেও দুজন মহিলাকে দেখতে পেয়েছি। তখন বিষয়টি খেয়াল না করেই বাসায় আসি। পরে মাসুদ ওই জায়গা শিশুটিকে পড়ে থাকেত দেখে শিশুটিকে এনে আমার বাসায় রাখে।
‘আমার ধারণা, ওই দুই নারী শিশুটিকে সড়কের পাশে ফেলে গেছেন। কী নির্মম মানুষ? মা-হারা শিশুটি এখন শুধুই কাঁদছে।’
এ ব্যপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, শিশুকে বাসুদেব ইউনিয়নের দুবলা গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার দেখাশোনার জন্য দুবলা গ্রামের পারভীন নামের এক নারীকে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শিশুটির পরিচয় জানতে সব জায়গায় খোঁজ নেয়া হচ্ছে। যদি পরিচয় না পাওয়া যায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।